বাংলা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট: আপনারা যারা চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদরে জন্য আজকের এই লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকে আমি আলোচনা করবো বাংলা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট যা আপনার একদিন কোনো না কোনোভাবে কাজে দেবে। আপনারা চাইলে পোস্টটি আপনাদের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখতে পারেন। এতে ভবিষ্যতে বাংলা ব্যাকরণের এই গুরুত্বপূর্ণ নোটটি খুজে পেতে সুবিধে হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
বাংলা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট
ব্যাকরণের মৌলিক তথ্য:
১। ভাষার মূল উপকরণ বাক্য। ২। ভাষার মূল উপাদান ধ্বনি। ৩। ভাষার মৌলিক উপাদান শব্দ। ৪। বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক/মৌলিক উপাদান শব্দ। ৫। ধ্বনিকেশব্দের ক্ষুদ্রতম একক বলা হয়। ৬। শব্দকে বাক্যের প্রাণ বলা হয় । ৭। উপসর্গ পদের আগে বসে, আর প্রত্যয় পদের পরে বসে । ৮। উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে । ৯। যে ৪টি উপসর্গ বাংলা, তৎসম উভয় ক্ষেত্রেই রয়েছে আ, সু, নি , বি। ১০। অনুসর্গের অপর নাম কর্মপ্রবচনীয় বলে। এরা স্বাধীন পদ রুপে ও শব্দ বিভক্তির ন্যায় ব্যবহৃত হতে পারে।
বাংলা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট
১১। বিভক্তিহীন নাম শব্দ বলে প্রাতিপাদিক বা নাম প্রকৃতি । ১২। বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলে । ১৩। ক্রিয়াপদের মূলকে ধাতু বলে । ১৪। বাক্যে অপরিহার্য ক্রিয়াপদ । ১৫। সন্ধির সুবিধা ২টি ১. উচ্চারণ সহজ ২. ধ্বনিগত মাধুর্য স্থাপন সম্পাদন ।
১৬। ভাষার অপপ্রয়োগ ঘটে মূলত ৩টি কারণে । ১. উচ্চারণগত, ২ শব্দগঠনজনিত ৩. শব্দের অর্থগত ১৭। খাঁটি বাংলা শব্দে বিসর্গের ব্যবহার নাই । ১৮। তৎসম শব্দে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান খাটে না । ১৯। সমাসবদ্ধ শব্দে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান খাটে না । ২০। সমাস ভাষাকে সংক্ষেপ করে । ২১। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে আগত। ২২। ব্যাকরণ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত। ২৩। শব্দের অন্ত্য বর্ণের পূর্ব বর্ণ কে উপধা বলে । ২৪। সমন্ধ পদ, তারিখ লিখতে, ঠিকানা লিখতে পদের পর কমা বসাতে হয়। ২৫। বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশভঙ্গিকে বাচ্য বলে।///ব্যাকরণের প্রকারভেদ
৩৪। বাংলা সন্ধি প্রধানত – ২ প্রকার স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জন সন্ধি ৩৫। তৎসম সন্ধি/সংস্কৃত সন্ধি – ৩ প্রকার । যথা: স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জন সন্ধি, বিসর্গ সন্ধি।৩৬। ক্রমবাচক সংখ্যা – ৪ প্রকার ৩৭। কারক কত প্রকার? = ৬ প্রকার । কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণ, অপাদান, সম্প্রদান, অধিকরণ । ৩৮। সমাস সাধারণত কত প্রকার? = ৬ প্রকার । দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, অব্যয়ীভাব, দ্বিগু, বহুব্রিহি । ৩৯। বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সমাস ৪ প্রকার । যথা: অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষীয়, দ্বন্দ্বমূলক, বহুব্রিহিমূলক । ৪১। বাংলা ভাষায় মৌলিক ধ্বনিগুলো – ২ ভাগে বিভক্ত যথা: স্বরধ্বনি (১১টি) , ব্যঞ্জনধ্বনি (৩৯) । ৪২। ণ -ত্ব বিধানের নিয়ম = ৪ টি ।
৪৩। লিঙ্গ কত প্রকার = ৪ প্রকার । (পুং লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ, উভয় লিঙ্গ ও ক্লীব লিঙ্গ) ৪৪। বচন কত প্রকার? = ২ প্রকার । যথা: একবচন, বহু বচন ৪৫। উপসর্গ কত প্রকার = ৩ প্রকার । খাঁটি বাংলা (২১), তৎসম (২০) ও বিদেশি) ৪৬। প্রত্যয় কত প্রকার? = ২ প্রকার । ধাতুপ্রত্যয় বা কৃৎপ্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয় । ৪৭। দ্বিরুক্তি কত প্রকার? = ৩ প্রকার । শব্দের দ্বিরুক্তি, পদের দ্বিরুক্তি, অনুকার দ্বিরুক্তি ।
৪৮। বিভক্তি কত টি? = ৭টি । ৪৯। সমাসের প্রতীতি কয়টি? = ৫টি । যথা: সমস্তপদ , পূর্বপদ , পরপদ , ব্যাসবাক্য ও সমস্যমান পদ । ৫০। বাক্য প্রধানত কত প্রকার? = ৩ প্রকার । সরল, জটিল বা মিশ্র, যৌগিক । ৫১। বাক্যের অংশ ২টি > উদ্দেশ্য ও বিধেয়; ৫২। বাক্যের গুণ ৩টি: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা। ৫৩। অর্থ অনুসারে বাক্য কত প্রকার? ৫ প্রকার ৫৪। উৎপত্তিগত ভাবে শব্দ কত প্রকার? = ৫ প্রকার । তৎসম, অর্ধতৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি ।
৫৫। গঠনগত ভাবে শব্দ কত প্রকার? = ২ প্রকার। মৌলিক ও সাধিত ।৫৬। অর্থগত ভাবে শব্দ কত প্রকার? = ৩ প্রকার । যৌগিক, রুঢ়, যোগরুঢ় ৫৭। কতটি উপায়ে শব্দ গঠন করা যায়? = ৮টি । ৫৮। পদ প্রধানত কত প্রকার? = ২ প্রকার । যথা: নামপদ ও ক্রিয়াপদ ।৫৯। নামপদ কত প্রকার? = ৪ প্রকার (বিশেষ্য, বিশেষণ, অব্যয়, সর্বনাম) ৬০। অব্যয় কত প্রকার? = ৪ প্রকার । (যথা: সমুচ্চয়ী বা সম্বন্ধবাচক, অনন্বয়ী, অনুসর্গ, অনুকার অব্যয়)
৬১ । যতিচিহ্ন কয়টি? = ১২ টি । ৬২। অক্ষর কত প্রকার? = ২ প্রকার । মুক্তাক্ষর ও বদ্ধাক্ষর ৬৩। বাংলা ছন্দ কত প্রকার? = ৩ প্রকার । যথা: অক্ষরবৃত্ত, স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ৬৪। ব্যাকরণে অলঙ্গকার কত প্রকার? = ২ প্রকার । যথা: শব্দালঙ্কার, অর্থালঙ্কার । ৬৫। ক্রিয়ার কাল কত প্রকার? = ৩ প্রকার । বর্তমান কাল, অতীতকাল, ভবিষ্যৎকাল ৬৬। ক্রিয়ার ভাব কত প্রকার? = ৪ প্রকার । নির্দেশক, সাপেক্ষ, আকাঙ্ক্ষা, অনুজ্ঞা ৬৭। সংখ্যাবাচক শব্দ কত প্রকার? = ৪ প্রকার । যথা: অঙ্ক বাচক,পরিমাণবাচক, ক্রমবাচক, তারিখ বাচক । ৬৮। ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া পদ কত প্রকার? = ২ প্রকার । যথা: সমাপিকা ও অসমাপিকা । ৬৯। বাক্যের অর্থ গঠনের বিচার করে ক্রিয়া পদকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়? = ২ প্রকার । সকর্মক, অকর্মক । ৭০। সর্বনাম কত প্রকার? ১০ প্রকার
৭১। উক্তি কত প্রকার? ২ প্রকার (প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি) ৭২। বিশেষণ পদ কত প্রকার? ২ প্রকার ৭৩। ভাব বিশেষণ কত প্রকার? ৪ প্রকার (ক্রিয়া বিশেষণ, বিশেষণের বিশেষণ, অব্যয়ের বিশেষণ, বাক্যের বিশেষণ) ৭৪। বাচ্য কত প্রকার? ৩ প্রকার (কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, ভাববাচ্য) ৭৫। বাংলা ভাষায় ধাতুর গণ কয়টি? ২০ টি
ব্যাকরণে সংখ্যা ব্যাকরণ সংখ্যাতত্ত্ব : মনে রাখার সহজ উপায়
বাংলা বর্ণমালার পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা এবং মাত্রাহীন বর্ণ
১। মোট পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি ( ২৬ টি ব্যঞ্জনবর্ণ + ৬ টি স্বরবর্ণ ) ২। মোট অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮ টি ( ৭ টি ব্যঞ্জনবর্ণ + ১ টি স্বরবর্ণ ) ৩। ১০ টি মাত্রাহীন ( ৬ টি ব্যঞ্জনবর্ণ + ৪ টি স্বরবর্ণ ).
আ,সু নি বি এই ৪টি উপসর্গ তত্সম ও খাঁটি বা্ংলা উভয়েই আছে √ স্বরবর্ণ – 11টি √ ব্যঞ্জনবর্ণ – 39 টি √ মৌলিক স্বরধ্বনি – 7 টি √ যৌগিক স্বরধ্বনি–২টি
যৌগিক স্বর জ্ঞাপক বর্ণ >> ২৫টি। (√ হ্রসস্বর স্বরধ্বনি – 4 টি √ দীর্ঘস্বর স্বরধ্বনি – 7টি √ মাত্রাহীন – 10 টি √ অর্ধমাত্রা – 8 টি √ পূর্ণমাত্রা – 32 টি √ কার – 10 টি √ স্পর্শবর্ণ – 25 টিধ্বনি তত্ত্ব
বাংলা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট
১। ভাষার রীতি – ২ টি (সাধু ও চলিত) ২। সারা পৃথিবীতে ভাষা প্রচলিত আছে – ৩৫০০ (প্রায়) ৩। ভাষার মৌলিক অংশ – ৪ টি ৪। ভাষার আলোচ্য বিষয় – ৪টি ৫। বাংলা ভাষায় ধ্বনি – ২ প্রকার (স্বর ধ্বনি ও ব্যঞ্জণ ধ্বনি) ৬। বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ আছে – ৫০টি ৭। বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ – ১১ টি ৮। বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণ – ৩৯টি ৯। বাংলা বর্ণমালায় মৌলিক স্বরবর্ণ – ৭টি ১০। বাংলা বর্ণমালায় মাত্রা বিহীন বর্ণ – ১০ টি ১২। বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা বর্ণ – ৩২ টি ১৩। বাংলা ধ্বনির মতো বর্ণ – দুই প্রকার। ১. স্বরবর্ণ, ২. ব্যঞ্জনবর্ণ। ১৪। স্বরবর্ণের ‘কার’ চিহ্ন – ১০টি ১৫। কার চিহ্ন নেই এমন স্বরবর্ণ – ১ টি (অ) ১৬। বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বজ্ঞাপক বর্ণ – ২ টি (ঐ এবং ঔ) ১৭। বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা – ২৫ টি ১৮। মাত্রাহীন স্বরবর্ণ – ৪ টি (এ, ঐ, ও, ঔ) ১৯। মাত্রাহীন ব্যঞ্জণবর্ণ – ৬ টি ২০। অর্ধমাত্রাযুক্ত স্বরবর্ণ – ১ টি (ঋ)২১। অর্ধমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জণবর্ণ – ৭টি
বাংলা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট
২২। শিশ ধ্বনি বা উষ্ণ ধ্বনি – ৪টি ২৩। স্পর্শ ধ্বনি – ২৫ টি ২৪। কন্ঠ ধ্বনি বা জিহবামূলীয় ধ্বনি – ৫ টি (ক, খ, গ, ঘ, ঙ) ২৫। তালব্য ধ্বনি – ৫ টি (চ, ছ, জ, ঝ, ঞ) ২৬। মূর্ধন্য ধ্বনি – ৫ টি (ট, ঠ, ড, ঢ, ণ) ২৭। দন্ত ধ্বনি – ৫ টি (ত, থ, দ, ধ, ন
২৮। পার্শ্বিক ধ্বনি – ১ টি (ল) ২৯। নাসিক্য ধ্বনি – ৫ টি (ঙ, ঞ, ণ, ন, ম) ৩০। অন্তঃস্থ ধ্বনি – ৪ টি (য, র, ল, ব) ৩১। তাড়নজাত ধ্বনি – ২টি (ড়, ঢ়) ৩২। কম্পনজাত ধ্বনি – ১ টি (র) ৩৩। পরাশ্রায়ী ব্যঞ্জণবর্ণ – ৩ টি
বাংলা ব্যাকরণে সমাস
প্রাদি সমাস: প্র, প্রতি, অনু প্রভৃতি অব্যয়ের সঙ্গে যদি কৃত প্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস হয় । উদা:প্রবচন , প্রভাত, পরিভ্রমণ , অুনতাপ, প্রকৃষ্ট, প্রগতি নিত্য সমাস: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিয়ে সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না তাকে নিত্য সমাস বলে। উদা: অন্য গ্রাম গ্রামান্তর
- উপপদ তৎপুরুষ সমাস: এক কথায় প্রকাশ দিয়ে যত শব্দ থাকবে তা উপপদ তৎপুরুষ সমাস। যেমন:
- জলে চরে যা= জলচর
- জল দেয় যে= জলদ
- পঙ্কে(কাঁদায়)জন্মে যা= পঙ্কজ
- ছা দিয়ে পোষা= ছা-পোষা
- ছাই থেকে উৎপন্ন যে পোকা= ছারপোকা
- ধামা ধরে যে= ধামাধরা
- বর্ণ লুকায় যে চোর=বর্ণচোরা
বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ কোনটিরই অর্থ না বুঝিয়ে, তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ , সমস্ত পদকে বুঝিয়ে থাকে,তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। উদাহরণ: খোশ মেজাজ যার= খোশমেজাজ ব্যাখ্যা: এখানে, পূর্বপদ খোশ মানে খুশি, আবার মেজাজ মানে মানসিক অবস্থা। এবার দেখুন, সমস্তপদে খুশি কেও বোঝায়নি আবার মেজাজকেও বোঝায়নি। অর্থাৎ, খোশমেজাজ কে বুঝিয়েছে। মানে, ভালো মেজাজ ওয়ালা ব্যক্তিকে বুঝিয়েছে।
আশীতে বিষ যার= আশীবিষ ব্যাখ্যা: এখানে, পূর্বপদ আশী মানে সাপের বিষ দাঁত। আবার বিষ মানে বিষ বা বিষাক্ত কিছু। এবার দেখুন, সমস্তপদে আশীবিষ মানে, সাপ । অর্থাৎ, সাপের বিষ দাঁতকেও বোঝায়নি আবার বিষকেও বোঝায়নি। বুঝিয়েছে সাপকে।
হত হয়েছে শ্রী যার= হতশ্রী ব্যাখ্যা: এখানে হত মানে চুরি, আবার শ্রী মানে মুখমন্ডল বা সৌন্দর্য।এবার দেখুন,সমস্তপদে হতশ্রী মানে, যে খুব অসহায়,যার কিছু নেই। অর্থাৎ,হতকেও বোঝায়নি আবার মুখকেও বোঝায়নি। বুঝিয়েছে যার কিছু নেই।
প্রাদি সমাস
প্রাদি সমাসের সাথে অব্যয়ীভাব সমাসের উদা.-এর সাথে কিছুটা মিল আছে। তাই প্রাদি সমাসের নিম্নোক্ত কৌশলটি শিখে নিলে অব্যয়ীভাব সমাসে আর কোনো কনফিউশন থাকবে না। প্রাদি সমাসের এ উদাহরণগুলো ছাড়া পরীক্ষায় এর বাহিরে আসে না।
টেকনিক: বচন মিয়া প্রভাতে পরিভ্রমণ করে শরীরে গতি ও তাপ উৎপন্ন করল। ব্যাখ্যা: বচন>প্রবচনপ্রভাতে>প্রভাত;পরিভ্রমণগতি>প্রগতিতাপ>অনুতাপ
অব্যয়ীভাব সমাস
শুধু মনে রাখবেন, অব্যয়ীভাব সমাসের আগে নিম্নোক্ত উপসর্গ গুলো বসে। উপ, প্রতি,নি, আ, উৎ, অনু, পরি, প্র. এবার দেখুন উদাহরণ: উপ= উপকন্ঠ, উপকূল,উপশহর,উপগ্রহ, উপবন, উপনদী.
প্রতি= প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে, প্রতিবাদ, প্রতিকূল প্রতিচ্ছায়া, প্রতিচ্ছবি, প্রতিপক্ষ প্রত্যুত্তর-প্রতি+উত্তর, প্রতিবিম্ব।
নি= নিরামিষ, নির্ভাবনা, নির্জল, নিরুৎসাহ. আ= আসমুদ্রহিমাচল, আপাদমস্তক, আনত, আরক্তিম, আজানুলম্বিত, আমরণ। উৎ=উদ্বেল,উচ্ছৃঙ্খল এগুলো সন্ধিবিচ্ছেদ করলে উৎ উপসর্গ পাবেন।
অনু= অনুক্ষণ, অনুগমন, অনুধাবন পরি= পরিপূর্ণ,সম্পূর্ণ(সমগ্র বুঝালে) প্র= প্রপিতামহ, পরোক্ষ ব্যতিক্রম শুধু ১ টা । যথা= যথারীতি, যথাসাধ্য, যথাবিধি, যথাযোগ্য।